আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা প্রতিনিধি:
সিমেন্ট গুদামজাত ও পরিবহনে নষ্ট হচ্ছে ভোলা বিসিকের পরিবেশ, মানছে না বিসিক কর্মকর্তাদের নির্দেশনা। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ভোলায় দীর্ঘ ৩ বছর ধরে অবাধে চলছে সিমেন্ট গুদামজাত ও পরিবহন, যা এ ধরনের শিল্প এলাকায় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গুদামজাত ও পরিবহনের কারণে নষ্ট হচ্ছে বিসিকের পরিবেশ, ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিকে অবস্থিত অন্যান্য শিল্প কর্মকারখানা গুলো। দীর্ঘ সময় ধরে সিমেন্টের কাজ চলার কারণে এ শিল্প এলাকায় অনেক খাদ্য উৎপাদনকারী ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। ইতিমধ্যে খাদ্য উৎপাদনকারী অনেক ছোট ছোট শিল্প কারখানা বিসিক এলাকা ছেড়ে যাওয়া মত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। যা ভোলা বিসিক এর জন্য একটি অশোভনীয় সংকেত বলে মনে করছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেসার্স জননী পেট্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি নামের কারখানাটির সামনের ঘাট দিয়ে সিমেন্ট ভর্তি কার্গ থেকে নামানো হচ্ছে সিমেন্ট। সিমেন্ট গুলো নামিয়ে গুদামজাত করা হচ্ছে মেসার্স জননী পেট্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ ভিতরে। পরবর্তীতে এই গুদাম থেকে ছোট ছোট নসিমন ও কাবারভ্যানে করে শহরে থাকা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিবহন করছে। এতে একদিকে যেমন ঝুঁকিতে পরছে খাদ্য উৎপাদনকারী মিলকারখানা গুলো, পাশাপাশি দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী জানান, এই সিমেন্ট গুদামজাদ ও পরিবহনের সময়ে বাতাসের সাথে সিমেন্ট উড়ে এসে খাদ্যের সাথে মিশে ক্ষতি সাধন করছে।
এ বিষয়ে মেসার্স জননী পেট্রো কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রি এর সত্তাঅধিকারী মোঃ নয়ন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি আমার ঘর এখানে আমি সিমেন্ট গুদামজাত করছি। এ সময় তিনি জেলা বিএনপির একজন প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতার পরিচয় দিয়ে বলেন বিষয়টি আমি তাকে জানাবো তার সাথে কথা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) ভোলা এর সহকারী পরিচালক এস এম সোহাগ হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি নিয়ে উক্ত প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মোহাম্মদ নয়ন কে পরপর কয়েকবার নোটিশ করা হলেও তিনি এর কোন কর্ণপাত করছেন না। এ গুলো সিমেন্ট গুদামজাত করা ও বন্ধ করছে না।
এ বিষয়ে ভোলা জেলা প্রশাসক আজাদ জাহান বলেন, বিষয়ে আমি অবগত নই, এ ধরনের কর্মকাণ্ড হয়ে থাকলে তথ্য নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।